-->
‘চিন কানাডা থেকে করোনাভাইরাস চুরি করে বায়োলজিক্যাল ওয়েপন-এ পরিণত করে’, দাবি করলেন মার্কিন অধ্যাপক

‘চিন কানাডা থেকে করোনাভাইরাস চুরি করে বায়োলজিক্যাল ওয়েপন-এ পরিণত করে’, দাবি করলেন মার্কিন অধ্যাপক



COVID-19, এই মুহূর্তে এই মারন ভাইরাসই বিশ্বের একমাত্র ভয়। করোনাভাইরাস নামক এই মারণরোগে এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে 30হাজার 600 জনের। আক্রান্তের সংখ্যা 6 লক্ষ ৬৯ হাজার ৯০৬। চিনের উহান থেকে জন্ম নেওয়া এই করোনা ভাইরাস এখন পৃথিবীর সব জায়গাতেই হানা দিয়েছে এবং দিচ্ছেও। চিন ছাড়াও ইতালি, ইরান, স্পেন সহ ইউরোপের একাধিক দেশে করোনায় কার্যত বিধ্বস্ত জনজীবন।সব থেকে করুন অবস্থা ইতালিতে,ইতালিএ মৃত্যু সংখ্যা 10 হাজার ছাড়িয়েছে। আমেরিকাতেও অবস্থা গুরতর ইতিমধ্যেই আমেরিকা আক্রান্ত এর দিক দিয়ে সকল কে টপকে গেছে। বর্তমান আমেরিকায় আক্রান্তদের সংখ্যা 1 লক্ষ ছড়িয়েছে। সবখানেই গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিচ্ছে প্রশাসন। রাষ্ট্রপুঞ্জ এই অবস্থাকে মহামারি আখ্যা দিয়ে নেমে পড়েছেন সঙ্কট মোকাবিলায় । হু-র তরফে অনবরত প্রচার করা হচ্ছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কতা। ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাঙ্ক এর তরফ থেকেও আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। এসবের মাঝে ‘জিওপলিটিক্স অ্যান্ড এমপায়ার’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন অধ্যাপক ফ্রান্সিস বয়েলের বিস্ফোরক দাবি উঠে এসেছে তার দাবি, ‘করোনা আসলে চিন নির্মিত একটি জৈব অস্ত্র এবং যা তৈরি হয়েছে বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবরেটরিতে।’ তিনি আরও বলেন যে, চিন অগেথেকেই জানত এই জৈব অস্ত্র নির্মাণের খবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও অজানা থাকার কথা নয়। হু নাকি অগেথেকেই জানত যে চিন এমন ‘বায়োলজিক্যাল ওয়েপন’ তৈরি করছে, এমনই বিস্ফোরক দাবি মার্কিন অধ্যাপক ফ্রান্সিস বয়েলের।







‘বায়োওয়ারফেয়ার অ্যান্ড টেররিজম’ , ‘দ্য তামিল জেনোসাইড বাই শ্রীলঙ্কা’, ‘ডেস্ট্রয়িং লিবিয়া অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড অর্ডার’ সহ আরও একাধিক নামকরা বিখ্যাত বইয়ের লেখক ওই সাক্ষাৎকারে এরকমও দাবি করেন যে, চিন এই ভয়ানক এবং আক্রামণাত্মক জৈব অস্ত্র দ্বৈত ব্যবহারের জন্যই নাকি তৈরি করেছে। আর সম্ভবত সেই কারণেই করোনাভাইরাসের এই বিষয়টি যথাসম্ভব ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টা করছে চিন সরকার। এখানেই শেষ নয়। চিন এর সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে যে খবর গোটা বিশ্বে সম্প্রচারিত হয়েছে, তাও নস্যাৎ করে দিয়েছেন তিনি। কোনও বাজার তো নয়ই এমনকি কোনও পশুপাখির থেকেও যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর জোরগলায় করে কেউ বলতে পারছে না। আর সেকারণেই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে দিনদিন সাধারণ মানুষ তো বটেই বিভিন্ন দেশের সকারও চিন্তায় আছে।







মার্কিন অধ্যাপক ফ্রান্সিস বয়েলের সঙ্গে কার্যত একমত হয়েই লেখক জে আর নিকোয়েস্টও একই দাবি করেছেন। ‘অরিজিনস অব দ্য ফোর্থ ওয়ার্ল্ড ওয়ার’, ‘দ্য ফুল অ্যান্ড হিজ এনিমি’, ‘দ্য নিউ ট্যাকটিস অব গ্লোবাল ওয়ার’-এর মতো অসাধারণ বইয়ের জনক নিকোয়েস্টের বক্তব্য, চিন কানাডা থেকে করোনা ভাইরাস চুরি করে এটাকে মারণাস্ত্রে পরিণত করেছে! এই বিষয়ে তাঁর একটি লেখায় তিনি চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্যাডারদের কথোপকথনের কথাও উল্লেখ করেছেন। ডঃ বয়েলেরও দাবি ছিল, কানাডায় উইনিপেগের যে ল্যাবে করোনা ভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছিল, সেখানে ছিলেন চিনা এজেন্টরা। তাঁরাই সম্ভবত ওই ল্যাব থেকে এই মরণ ভাইরাস পাচার করে।








যদিও কোনো তথ্যই এখনো প্রমানিত নয়। এরই মাঝে বিভিন্ন দেশ একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপানো শুরু করেছে। চিনারা যেমন দাবি করছেন যে তাদের প্রোডাক্ট যেহেতু সারা বিশ্ব এর প্রতিটি প্রান্ত জুড়ে ছেয়ে গেছে তাই মূলত চিনা বাজার ডাউন করতেই আমেরিকা প্লান মাফিক এই মারণ ভাইরাস চিনে ছড়িয়ে দেয়।মার্কিন প্রেসিডেনট ডোনাল ট্রাম্প যেমন দাবি জানিয়েছেন যে চিনারা এবং ইরান মিলে এই মরণ ভাইরাস ছড়িয়েছে মুলত সারা বিশ্ব জুড়ে তাদের আধিপত্য বজায় রাখতে। মার্কিন সরকার অবশ্য এই ভাইরাস কে ইতিমধ্যে চিনা ভাইরাস নামকরণ করেছেন। যার ফলে চিন সরকার আমেরিকার প্রতি রুষ্টও বটে।
সবমিলিয়ে পরিস্তিতি এখন ঠান্ডা নড়াই এর মতন চলছে। বিশেষজ্ঞ দের মতে যা যেকোনো সময়েই বড়সড় আকার ধারন করতে পরে।

0 Response to "‘চিন কানাডা থেকে করোনাভাইরাস চুরি করে বায়োলজিক্যাল ওয়েপন-এ পরিণত করে’, দাবি করলেন মার্কিন অধ্যাপক"

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box.

AD